নওগাঁয় ফিটনেস লাইসেন্স ছাড়াই তৈরি হচ্ছে নারিকেল তেল; পাতা বাহার মোড়কে বাজারজাত

নওগাঁয় ফিটনেস লাইসেন্স ছাড়াই তৈরি হচ্ছে নারিকেল তেল; পাতা বাহার মোড়কে বাজারজাত
নওগাঁ প্রতিনিধি:
নওগাঁয় ফিটনেস লাইসেন্স ছাড়াই আবাসিক এলাকায় স্থাপন করা কারখানায় অপরিকল্পিত ভাবে তৈরি হচ্ছে নারিকেল তেল। পৌরসভার ট্রেড লাইন্সেস ও বিএসটিআই এর অনুমতি থাকলেও সিভিল সার্জন অফিস এর স্যানিটারি দপ্তর থেকে নেই কারখানার ফিটনেস লাইসেন্স। এতে করে সাধারণ ভোক্তারা এসব তেল ব্যবহারে পড়তে পারেন স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। অন্যদিকে আবাসিক এলাকায় এমন কারখানা থাকায় ঘটতে পারে যে কোন দুর্ঘটনা।
সরেজমিনে দেখা যায়, নওগাঁ শহরের শাহী মসজিদ ফিসারী গেট এলাকার বসবাসকারী আবাসিক মহল্লার একটি বাড়িতে দুইটি রুমে আব্দুল মজিদ নামের এক ব্যক্তি নিয়ম বর্হিভূত ভাবে গড়ে তুলেছেন খোলা বাজারে কেনা নারিকেল তেল তৈরির কারখানা। গত দেড় বছর যাবৎ তিনি এই কারখানা চালাচ্ছেন। ফাতেমা কেমিকেলের নামে লাইসেন্স নিয়ে বোতলে নারিকেল তেল ভরাট করে পাতা বাহার নামে মোরকে তিনি নওগাঁসহ আশেপাশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে থাকেন। সেখানে আব্দুল জলিল সুইট নামের এক ব্যক্তির ৪টি ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন আব্দুল মজিদ। দুটি ঘরে বসবাস করেন পরিবার নিয়ে আর বাঁকি দুটি ঘরে নারিকেল তেলের কারখানা গড়ে তুলেছেন।
কারখানায় দেখা যায়, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তেল তৈরির সরঞ্জামাদি। রয়েছে দুটি রিপিয়ারিং মেশিন। সেখানেই খোলাবাজার থেকে নিম্নমানের নারিকেল তেল সংগ্রহ করে রিপিয়ারিং করে উন্নত মানের তেল হিসেবে বাজারজাত করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নারিকেল তেলের মান নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নেই কোন ব্যবস্থা। অনেকক্ষণ অপক্ষো করার পর কারখানায় প্রবেশের অনুমতি দিলেও ভিডিও বা চিত্র ধারনের অনুমতি দেয়নি কারখানা মালিক আব্দুল মজিদ। এরপর গোপনে কিছু ছবি ধারণ করা হয় কারখানার।
কারখানা মালিক আব্দুল মজিদ বলেন,  আমি এখানে দেড় বছর থেকে ব্যবসা করছি। ট্রেড লাইসেন্স ও বিএসটিআইয়ের অনুমতি আছে। তবে অন্যকোন দপ্তরের অনুমতি পত্র নেই। আরও যা কাগজপত্র করা লাগে আগামীতে সেগুলো করে ফেলবো। স্যানিটারি দপ্তরের অনুমতিপত্র ছাড়া  কিভাবে এতদিন থেকে কারাখানা দিয়ে নারিকেল তেলের ব্যবসা করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, দেখুন স্থানীয় নেতাকর্মীসহ সবাইকে ম্যানেজ করেই চলতে হয়। আপনার সাথে চলুন বসে বিষয়টির সুরাহা করে নিই।
নওগাঁ স্যানেটারি ইন্সপেক্টর শামছুল হক বলেন, পাতাবাহার নামে কোন নারিকেল তেল তৈরির কারখানার ফিটনেস ছাড়পত্র দেয়া হয়নি। আপনি যেহেতু বলছেন আমরা অবশ্যই খোঁজ নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

আপনি আরও পড়তে পারেন